Related Post
![](https://bolograhak.com/blog/wp-content/uploads/2023/08/WhatsApp-Image-2023-08-08-at-17.24.07-1-264x215.jpeg)
![](https://bolograhak.com/blog/wp-content/uploads/2023/10/PUJA-PARCEL-FEATURE-264x215.jpg)
![](https://bolograhak.com/blog/wp-content/uploads/2023/08/1920720-2-scaled-2-264x215.jpg)
![](https://bolograhak.com/blog/wp-content/uploads/2024/05/Thumbnail-36-264x215.png)
![](https://bolograhak.com/blog/wp-content/uploads/2023/08/1920720-scaled-2-264x215.jpg)
![](https://bolograhak.com/blog/wp-content/uploads/2024/04/Thumbnail-6-2-1.png)
জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ অপরিহার্য যে কয়টি বিষয় আছে তার মধ্যে ওষুধ অন্যতম। ওষুধকে তাই বলা হয় জীবনদায়ী। এবং যেহেতু চিকিৎসকই আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য কোন ওষুধ কিনতে হবে তা নির্ধারণ করে দেন তাই তাঁদের এক অর্থে ভগবানও বলে থাকি আমরা। কিন্তু যদি কোনসময় আপনি এই ভগবানতুল্য চিকিৎসকের থেকে অমানবিক বা খারাপ আচরণ পেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেবেন জানেন? বা যদি কোনো দোকানে ওষুধ কিনতে গিয়ে প্রতারিত হন তখনই বা কী করণীয়? আপনি কি জানেন এসব ক্ষেত্রে ঠিক কোন কোন বিষয়ের ওপর আপনাকে সচেতন থাকতে হবে? মনে রাখবেন, এই সচেতন থাকাও কিন্তু আপনার অধিকার। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরই আপনাকে সেই অধিকার দিয়েছে। তাই পরের বার থেকে এমন সমস্যা এড়ানোর জন্য কোন কোন বিষয়ে সচেতন হবেন, দেখে নিন এক নজরে –
১. চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রেসক্রিপশনে ওষুধের দুটো নামই লেখা থাকতে হবে জেনেরিক এবং ব্র্যান্ড নাম।
২. অন্তর্বিভাগীয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে কমপক্ষে চিকিৎসা শুরু হওয়ার দিন থেকে তিন বছর পর্যন্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
৩. অন্তর্বিভাগীয় চিকিৎসার নথিপত্র রোগী চাইলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা পেশ করতে হবে।
৪. চিকিৎসার অবহেলার ক্ষেত্রে অভিযোগ জানাতে পারেন উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরামে।
৫. অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।
৬. ফোরাম সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না।
৭. চিকিৎসকের অসদাচরণ অথবা অবহেলার ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে পারেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলে।
৮. ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের ঠিকানা হলো –
১৯৬, ব্রডওয়ে রোড, আই বি ব্লক, সেক্টর ৩, বিধান নগর, কলকাতা – ৭০০১০৬, ফোন: 033-2335-3078
৯. ওষুধের দাম এর ক্ষেত্রে সর্বাধিক খুচরা মূল্যের উপর অতিরিক্ত কিছু নেওয়া যাবে না।
১০. ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে রসিদ দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং রসিদের কপি রাখতে হবে।
১১. ওষুধ খুচরো বিক্রি করলেও এক্ষেত্রে আনুপাতিক মূল্যের ওপর পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দাম নেওয়া চলে।
১২. প্রত্যেক ওষুধ বিক্রেতাকে ওষুধের দামের তালিকা প্রকাশও স্থানে টাঙ্গানো থাকতে হবে যা সহজেই দেখতে পাবেন।
১৩. ওষুধ কেনার সময় ওষুধের প্যাকেটে থাকা যে আবশ্যিক তথ্যগুলি দেখে নেবেন
.ওষুধের নাম
.উপাদান সমূহের বিবরণ
.মোড়কের মাপ
.উৎপাদনকারীর ঠিকানা
.লাইসেন্স নম্বর এবং ব্যাচ নম্বর
.উৎপাদনের তারিখ
.মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ
.সর্বাধিক খুচরা মূল্য
.মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ
.সর্বাধিক খুচরা মূল্য
১৪. ওষুধের দাম বেশি নিলে বা গুণগত মান ঠিক না হলে অভিযোগ জানাবেন যেখানে –
পি – ১৬, ইন্ডিয়া এক্সচেঞ্জ প্লেস এক্সটেনশন, কে আই টি বিল্ডিং, পঞ্চম তল, কলকাতা – ৭০০০৭৩
মেল: tellddcwb@gmail.com
১৫) ওষুধ বিষয়ক বিজ্ঞাপনে ক্ষতিকারক প্রচার দেখলে অভিযোগ জানাবেন 7710012345 -এই নম্বরে। এছাড়াও গ্রিভান্স এগেনস্ট মিসলিডিং এডভার্টাইজমেন্ট অর্থাৎ গামা পোর্টালে অভিযোগ জানানোর সুযোগ আছে।
তাই বিজ্ঞাপনের গল্পে আর বিভ্রান্ত নয়। ভাবুন বাস্তবের আলোয়। নিজের অধিকার নিজে জেনে নিন। প্রতারিত হওয়া থেকে সতর্ক থাকুন। এই বিষয় নিয়ে কোনও মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা হয়ে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানান।
বলো গ্রাহক, কাস্টমার রাইটস ম্যাটার।
Your Comment