“সৌন্দর্য দর্শকের চোখে থাকে।”
এবং ঠিক এই কারণেই প্রত্যেকে চায় নিজেকে সুন্দর রূপে সাজিয়ে তুলতে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কেউই এ যাত্রায় পিছিয়ে নেই। আর থাকবেনই বা কেন! নিজের যত্ন নেওয়ার মধ্যে, নিজেকে সুন্দর করে তোলার মধ্যে তো কোনও অপরাধ নেই। তবে বাড়িতে যতই রূপচর্চা হোক না কেন খুঁতখুতানি থেকেই যায়। পেশাদার বিউটিশিয়ানের ‘টাচ-এর জন্য মন কেমন করে। আর সত্যিই কিছু কিছু যত্ন আর ফিনিশিং পার্লারে যেমনটা হয়, বাড়িতে ঠিক তেমনটা সম্ভব হয় না। তবে পার্লারে গেলেই যে অভিজ্ঞতা সবসময় সুখকর হবে এমনটা কিন্তু নয়।
তাই জেনে নিন পার্লারে রূপচর্চা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ভুলগুলি করে থাকেন বেশির ভাগ মানুষ এবং কোন কোন বিষয়ে অতিরিক্ত সাবধানতা জরুরি।
১) অনেকেই যে পার্লারে যাবেন সেটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য না নিয়েই সেখানে চলে যান এবং পরে বিভিন্ন অবাঞ্ছিত সমস্যার মুখোমুখি হন। তাই পার্লারের ওয়েবসাইট বা প্রচারপত্র এবং অন্যান্য গ্রাহকদের মতামত পড়ে বা জেনে তা সম্পূর্ণ যাচাই করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। তাড়াহুড়োয় কিন্তু সমস্যা বাড়ে বই কমে না ।
২)অনেকেই পার্লারে গিয়ে নিজেদের পছন্দ, অপছন্দের কথা বলেনই না। এর ফলে শিল্পীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী এমন কিছু করে দেন যা আপনার পছন্দ তো হয় না কিন্তু আপনার টাকা অহেতুক খরচ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে, মন খুলে বলুন। মনে রাখবেন, আপনি অর্থের বিনিময়ে পরিষেবা নিচ্ছেন, ফ্রি তে নয়।
৩) পার্লারে অনেকসময় বিভিন্ন নিম্নমানের এবং পুরনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয়। এবং সেগুলো থেকে গুরুতর সংক্রমণের মুখে পড়তে হতে পারে আপনাকে। কিন্তু বিস্তারিত জানার উপায় থাকে না। তবে মনে রাখবেন আপনার পকেট থেকে টাকা যাচ্ছে তো আপনার ত্বকে আসলেই কী ব্যবহার হচ্ছে তা আপনার জানার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। তাই আগে জানুন, তারপর ব্যবহার করতে দিন।
৪) যে সমস্ত সৌন্দর্য্যশিল্পী পার্লারে আপনার রূপচর্চা করবেন, তাঁদের সম্পর্কে জানুন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং সঠিক জ্ঞান অনেকেরই থাকে না। যার ফলে মারাত্মক বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে পারেন। বিউটি পার্লারের সংখ্যা বাড়লেও দক্ষ কর্মীর সংখ্যা সেই অনুপাতে বাড়েনি। ফলে অনেক ক্ষেত্রে পার্লারে গিয়ে অদক্ষ কর্মীর পাল্লায় পড়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধির বদলে সৌন্দর্যহানি ঘটছে।
৫) এমনিতেই সংক্রামক রোগের কবলে পড়ে সমগ্র পৃথিবীকে ভুগতে হয়েছে। অনেক প্রাণহানিও হয়েছে। কিন্তু তারপরেও অনেকেই পার্লারে যাওয়ার আগে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি মাথায় রাখেন না। ফলে নানান সংক্রামক ব্যাধির সামনা করতে হতে পারে। তাই এই বিষয়ে কোনও সমঝোতা নয়, বরং বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করুন।
Your Comment